সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো আমন্ড বা কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস অনেকের থাকলেও ভেজানো আখরোট খাওয়ার অভ্যাস হয়তো অধিকাংশেরই নেই। কিন্তু আমন্ডের থেকে এর উপকারিতা কোনো অংশে কম নয়।
ভেজানো আখরোট খেলে কী-কী উপকার মিলবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-
মস্তিকের উন্নয়ন
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে আখরোট। এ বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের উন্নতি ও মেধাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়
আখরোট ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই আখরোট খেলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। প্রি-ডায়াবেটিক হলে অবশ্যই ভেজানো আখরোট খাওয়া উচিত। এ বাদামের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে, যা রক্তে অতিরিক্ত শর্করা শোষণে সাহায্য করে। এর জেরে হঠাৎ করে সুগার লেভেল বাড়ে না।
কোলেস্টেরল কমায়
বর্তমানে কমবয়সিরাও হাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগেন। ভেজানো আখরোট খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত হবে। এই বাদামের মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এর জেরে হার্টের সমস্যাও কমে।
ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়
ভেজানো আখরোট ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায় আখরোট। এই বাদামের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে বার্ধক্য জনিত রোগ সহজেই এড়ানো যায়। এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় আখরোট।
প্রদাহ কমায়
আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এ পুষ্টি দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। জয়েন্টের ব্যথা কমানো থেকে শুরু করে মেজাজকে উন্নত করে আখরোট। সকালবেলা ভেজানো আখরোট খেলে দেহে পুষ্টির অভাব হবে না।
এসব উপকারিতা পেতে এক মুঠো আখরোট খাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাত্র ২-৩টি আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খেলেই এই পুরো উপকারিতা পাওয়া যাবে।