Homeলাইফস্টাইলরোজায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে করণীয়

রোজায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে করণীয়


শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু না খেয়ে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তাই এ সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে-

পর্যাপ্ত পানি পান : শরীর হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া দরকার। পানির অভাব হলে শরীর কিন্তু ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। চেষ্টা করুন সেহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার। এতে পেট পরিষ্কার থাকবে ও শরীর হাইড্রেট থাকবে।

চা ও কফি থেকে বিরত : রমজানে বেশি পরিমাণে চা বা কফি না খাওয়াই ভালো। অনেকেই আছেন সেহরিতে চা বা কফি পান করেন। এতে কিন্তু আপনার শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেবে এবং সারা দিন গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হবে। এমনকি অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে।

নারিকেল পানি : সেহরিতে নারিকেলের পানি খেতে পারেন। এতে শরীরে পানির অভাব হবে না। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর হাইড্রেট থাকবে। নিজেকে সারা দিন আর ক্লান্ত লাগবে না। মাথাব্যথার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।

ফলের রস ও ফল খান : সেহরি ও ইফতারের সময় ফলের রস খাবেন। এতে আপনার শরীর হাইড্রেট থাকবে। সেইসঙ্গে আপনি গোটা ফলও খেতে পারেন। এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এগুলো।

ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত জায়গা : যারা রোজা রাখেন, দিনের বেলায় তাদের অন্তত ১২-১৩ ঘণ্টা উপবাস থাকতে হয়। সেজন্য শরীরকে হাইড্রেটেড ও সুস্থ রাখতে শীতল ও ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকা জরুরি।

সেহরির খাবার : রমজান মাসের টানা ২৯ বা ৩০ দিন ভোরের আলো ফোটার আগে খাওয়া-দাওয়া করে ফেলতে হয়। এ খাওয়াকে বলা হয় সেহরি। সেহরির খাবারে শরীরের শক্তি জোগাতে শাকসবজি, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

মিষ্টি কম খাওয়া : ইফতারের পর প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সময় চর্বি জাতীয় খাবারও সীমিত করা উচিত।

ভাজাপোড়া খাবার কম খাওয়া : ভাজাপোড়া খাবারে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। রমজানজুড়ে শরীর সুস্থ রাখতে ভাজাপোড়া খাবার ছাড়া অন্যান্য পদ্ধতিতে তৈরি করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাড়ির বাইরে গরম ও ক্লান্তি থেকে নিজেকে রক্ষা : রমজান মাসে বাড়ি কিংবা অফিসের বাইরে দিনের বেলা সূর্যের নিচে ঘোরাফেরা করা কমিয়ে আনতে হবে যথাসম্ভব। ইফতারের অন্তত এক ঘণ্টা পর ব্যায়ামের একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন, এতে করে শরীর ভালো থাকবে। গরম থেকে বাঁচার জন্য হালকা সুতির কাপড় পরুন, স্কার্ফ অথবা হ্যাট দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।

যদি সঠিকভাবে রোজা রাখতে পারেন তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য হবে অধিক উপকারী। এ রমজান হোক আনন্দময়। সবার শরীর এবং মন থাকুক সুস্থ ও সুন্দর।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত