বিশ্বের মোটামুটি সব দেশেই খাওয়া হয় এমন একটি খাবার মিটবল। মাংস কিমা করে ছোট ছোট বল বানিয়ে ভেজে খাওয়ার বুদ্ধিটা কোথা থেকে এসেছিল, সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে এতে খাবারের জন্য মাংস কেনার ব্যয় যে খানিক কমেছিল, সেটা ঠিক। মিটবল তৈরিতে মাংসের কিমার সঙ্গে অনেক সময় বাসি পাউরুটিও দেওয়া হতো। এতে অল্প পরিমাণে মাংস পরিবারের সবার পাতেই পড়ে আর সবার পেটও ভরে।
পৃথিবীতে কোথায় প্রথম মিটবল তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলে, রোমে খরগোশ ও ময়ূরের মাংস কিমা করে তারপর মিটবল তৈরি করে হতো। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, ইরানে প্রথম মিটবল তৈরি হয়েছিল, যা এখন কোফতা বলে পরিচিত সবার কাছে।
ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মিটবলের আক্ষরিক অর্থেই অসংখ্য রেসিপি রয়েছে। বলা ভালো, প্রতিটি দেশের নিজস্ব স্টাইল ও মসলায় তৈরি মিটবল রয়েছে। তবে পুরো বিশ্বে ইতালিয়ান, আমেরিকান, স্প্যানিশ, মধ্যপ্রাচ্য ও সুইডিশ রেসিপির খ্যাতি রয়েছে। বর্তমানে রেস্তোরাঁয় গেলে স্প্যাগেটির সঙ্গে মিটবল পরিবেশন করতে দেখা যায়, সঙ্গে থাকে টমেটো কেচাপ। ইতালিয়ানরা আমেরিকায় গিয়ে এই খাবার একসঙ্গে খেতে শিখিয়েছে বলে জানা যায়।
আমাদের দেশে এখন আবার শাশলিকের কাঠিতে মিটবল গেঁথে দোকানে বিক্রি করতে দেখা যায়। আর বিশেষ দিনগুলোতে অনেকে বাড়িতে মাংস কিমা করে বিভিন্ন ধরনের মিটবল তৈরি করেন। গুগলে খুঁজলে পাওয়া যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ৯ মার্চ মিটবল দিবস পালন করা হয়। পুরো বিশ্বে মিটবলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া চলছে রোজা। তাই ইফতারে একদিন মিটবল থাকতেই পারে।

বিফ মিটবল রেসিপি
উপকরণ
গরুর সেদ্ধ কিমা এক কাপ, আলু সেদ্ধ দুটি, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ডিম একটি, পেঁয়াজ মিহি করে কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচকুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, গরমমসলার গুঁড়া এক চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, টমেটো পেস্ট ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে হাতে বল তৈরি করুন। পরে কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করে সেগুলো সোনালি করে ভেজে নিন। টমেটো পেস্ট করে লবণ, চিনি, কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া দিয়ে রান্না করে সস তৈরি করুন। এবার মিটবলে দিয়ে পরিবেশন করুন।
রেসিপি ও ছবি আফরোজা খানম মুক্তা