বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙাসহ সারা দেশের বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আছে কিনা আমরা জানার চেষ্টা করবো।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল থেকে যে ঘটনা ঘটে চলেছে, এটি কারা করছে, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল সে তথ্যও নেই আমাদের কাছে। আর অল্পকিছু সময় আমরা অপেক্ষা করবো, আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আমরা জনগণের সামনে প্রকাশ করবো। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমনের জন্য নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বার বার পেশিশক্তি ব্যবহার করেছে। অনেকে ভুলে গেছে, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়?’
বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনও নতুন রাজনৈতিক দল বানায় আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরও একটি চয়েজ বাড়লো। যে দিনই নির্বাচন হবে নিশ্চয়ই সব রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজ নানা ধরনের সংস্কারকে পূর্বশর্ত দেওয়া হচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। একটি গ্রুপ বলেছে, ৭২ এর সংবিধান ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? কোনও বুদ্ধিজীবী, সৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনও কোনও বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধনের একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন পার্লামেন্ট।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন– বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।