‘বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বিশেষ কোনও সুবিধার জন্য, বিশেষ কোনও স্বার্থে, বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর জন্য যদি স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; তাহলে দেশের পরিণতি-পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।’
শনিবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে যে অস্বাভাবিক অবস্থা ছিল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে ছিল। সবকিছু সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ যেটা আশা করেছিল, সেটা পাচ্ছে না। আগেও যে সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করতো, এখনও সেই সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাহলে এই দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কী পরিবর্তন হলো?’
তিনি বলেন, ‘শেখের বেটির আমলে যেমন গুম-খুন ছিনতাই হতো, এখনও তাই হচ্ছে। মানুষ আতঙ্কে আছে। ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। চট্টগ্রামে একটি বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ জনগণের যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে একজন ছাত্র নিহত হয়েছেন। সেই নিহত ছাত্রের ময়নাতদন্ত যেভাবে হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলেও একইভাবে ময়নাতদন্ত হতো। রাস্তাঘাটে ছিনতাই হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে, খুন হচ্ছে। যদি একটা নির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের এই পরিস্থিতি হতো না।’
এসময় অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা জাতীয় নির্বাচনের কথা বলেছি। স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ১৭ বছর ধরে আন্দোলন হয়নি, ইলিয়াস আলী গুম হয়নি। বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা হয়নি। এটা বুঝতে হবে এই সরকারকে।’
তিনি বলেন, ‘যে লক্ষ্যে আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি, তা হচ্ছে বাংলাদেশকে রক্ষা করা। তারেক রহমান বলেছেন, প্রথম বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছেন, জীবন বাংলাদেশ, মরণ বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের স্বার্থ আগে। এ বাংলাদেশকে রক্ষা করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকতে হবে।’
‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরব বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার-সহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।