‘কারও ভিন্নমত থাকতেই পারে; গঠনমূলক ভাষায় তা প্রকাশ করতে কোনও বাধা নেই’ বলে মনে করে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির দুই শীর্ষনেতা আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা ও মতবিনিময়ে বরং একটি সমাজের সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মনোকাঠামোর উন্নতির জন্য সহায়ক বলে আমরা মনে করি।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহার (সাজ্জাদুর রহমান) ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এই বিবৃতি ইস্যু করে হেফাজত।
সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাখাল রাহা ধর্ম অবমাননা করেছেন। এ কারণে তাকে এনসিটিবি থেকে বাদ দিতে হবে।’ সংগঠনটি তার বিচারও দাবি করেছে।
বিবৃতিতে হেফাজত জানায়, ‘গালিগালাজ, কটূক্তি ও অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার বাকস্বাধীনতা বা সভ্যতার মাপকাঠির মধ্যে পড়ে না।’
হেফাজতের দুই শীর্ষনেতার অভিযোগ, ‘বিশেষত দিল্লির যোগসাজশে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নতুন অস্থিরতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী প্রগতিশীল লোক তৌহিদি জনতাকে একের পর এক উসকানি দিয়ে যাচ্ছে।’