Homeরাজনীতিপ্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব: গণতন্ত্র মঞ্চ


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠনের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটটি বলছে, সরকারের কাজের গতি ও দক্ষতা থাকলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিশুকল্যাণ ভবনে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তারা গত মঙ্গলবার উচ্চ আদালত কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি ধারা বাতিল সংক্রান্ত রায়কে স্বাগত জানান এবং বলেন—এই রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানে জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হলো।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন নিয়ে রূপরেখার বিষয়টিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান যে পরিস্থিতি, তাদের (সরকারের) চার মাস পার হতে চলল। ইসি গঠন করা হয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটা মার্চ মাসে না নিয়ে এখন থেকে শুরু করলে হয়তো সর্বোচ্চ ছয় মাসে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব।’

সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের দক্ষতা যোগ্যতা যদি থাকে, সরকারের কাজে যদি গতি আনা যায়, তাহলে মনে করি—নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সংস্কার করে আগামী বছরের মধ্যেই এই নির্বাচন করা সম্ভব, যেটা ইঙ্গিত (ড. ইউনূস) দিয়েছেন।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কতগুলো নীতিতে আমাদের একমত হতে হবে—যেমন, আমরা গণতন্ত্র উত্তরণে এই এই নীতি অনুসরণ করবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। যেহেতু ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা পথনির্দেশিকা দিয়েছেন। কেউ বলতে পারেন, ছয় মাস বেশি নেওয়া হয়েছে, আরও কমানো যেতে পারে। কংক্রিট সাজেশন বলেন। অথবা এমনভাবে বলেন, যাতে একটা কনস্ট্রাকটিভ জায়গায় যেতে পারে। না হলে কিন্তু ভুল-বোঝাবুঝি হবে। যত বেশি বিভেদ হবে, ততই আমাদের আস্থা নষ্ট হবে।’

গুম কমিশনের রিপোর্টে ভয়াবহতা প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘আমাদের এমন ভয় আছে, হয়তো একসময় মানুষ মনে করবে বিচারগুলো না হলে কিসের ভোট। খোদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এসব গুম-খুনের হুকুমদাতা, এসবও বলা হয়েছে। তাঁর বিচার না করে তো যাওয়া যাবে না।’

মান্না আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এখন পর্যন্ত পুলিশ ঠিক হয়নি, জনপ্রশাসনও ঠিক হয়নি। উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, তাবলিগ জামাতের চারজনকে হত্যা করা হলো। অভ্যুত্থানে যাঁরা অগ্রভাবে ছিলেন, তাঁদের গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির গোটা প্রশাসন অক্ষুণ্ন রেখে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় দেশ এগিয়ে নেওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমলাদের শোধ-প্রতিশোধের তৎপরতা সরকারকে বিপদে ফেলে দিতে পারে।’

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নির্বাচন করার জন্য আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা জীবন দেয়নি। পরিবর্তনের কাজও করতে হবে, তা না করতে পারলে ভবিষ্যতে হতাশা বাড়বে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় দেশবিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত