ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। সংগঠন নিয়ে কী পরিকল্পনা আপনার?
ডিরেক্টরস গিল্ডের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমিসহ নির্বাচিত সবার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমাকে যোগ্য মনে করেছে বিধায় এই জয়টা এসেছে। সভাপতি হিসেবে ডিরেক্টরস গিল্ডকে একটা সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই, গতিশীল করতে চাই, সংগঠনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। নির্মাতাদের মর্যাদা, তাঁদের কাজের নিশ্চয়তা প্রদান করা—এগুলো হচ্ছে প্রথম দিকের কাজ। এ ছাড়া নতুন নির্মাতাদের আমার প্রতি প্রত্যাশা আছে। আমি চাইব, তাঁদের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে। সিনিয়র যাঁরা নির্মাতা আছেন, তাঁদের সঙ্গে নতুনদের যোগাযোগের যোগসূত্র তৈরি করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, আমরা সেটা নেব।
গত কমিটি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা আছে। সেটা নিশ্চয় নতুন কমিটির জন্য শিক্ষণীয় হবে?
বেশ কিছু সময় ধরে স্থবিরতা কাজ করছে এটা সত্যি। সেটা কাটিয়ে উঠতে একটা দক্ষ সংগঠন প্রয়োজন। আগের অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যা করণীয়, সেটা করতে চাই। এখানে কমিটিতে শুধু আমরা ২১ জন নির্বাচিত হয়েছি বলে তারাই কাজটি করব, এমন নয়। আমরা ৪৪ জন যারা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম, তারা প্রত্যেকেই এই সংগঠনকে ভালোবাসি। সংগঠনকে নিজের মনে করে বিধায় কাজ করতে তারা এগিয়ে এসেছিল। যে তিনটি ইশতেহার দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়ে যদি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পারি, অংশীদারত্বমূলক সংগঠন গড়তে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে মিডিয়া রিলেটেড যত সংগঠন আছে, তার মধ্যে ডিরেক্টরস গিল্ডকে শীর্ষে নিয়ে যেতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
এর আগে আপনি অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাটাও কাজে লাগবে নিশ্চয়ই?
অবশ্যই সেটা কাজে দেবে। একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে এই সংগঠনটি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি হিসেবে অভিনয়শিল্পীদের পয়েন্ট অব ভিউতে সংগঠন চালানোর চিন্তাভাবনা করেছি। এবার যেহেতু আমি নির্মাতাদের সংগঠনের সভাপতি হলাম, তাই চিন্তাভাবনা থাকবে নির্মাতার জায়গা থেকে। একজন নির্মাতা হিসেবে আমি বহু কাজ করেছি। এটা হয়তো নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটানা ১৮ বছর নির্মাতা হিসেবে কাজ করেছি। এবার সংগঠনকে দেওয়ার পালা। অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে যা পাওয়ার তা আমি পেয়েছি। এখন আমার দেওয়ার সময়। ডিরেক্টরস গিল্ড আমার কাছ থেকে আদায় করে নেবে, এটাই প্রত্যাশা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে আমি সবাইকে বলেছি, আমাকে ব্যবহার করতে হবে। এখনো বলছি, আমি এখানে ব্যবহৃত হতে এসেছি। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডকে সমৃদ্ধশীল একটা জায়গায় দাঁড় করানোই আমার লক্ষ্য।
আপনি এখনো নিয়মিত অভিনয় করছেন। অভিনয়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি সংগঠনে সময় দেওয়া কি চ্যালেঞ্জিং হবে?
টাইম ম্যানেজমেন্ট সবার জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। একজন ব্যক্তি কীভাবে তার কাজটাকে বণ্টন করবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরিবার আছে, সংগঠন আছে এবং কাজ আছে। কোনোটাই কিন্তু চাকরি নয়। এমন নয় যে সকাল ৯টায় যেতে হবে বিকেল ৫টার আগে বের হওয়া যাবে না। আমি যে ক্ষেত্রগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলো সময় মেইনটেইন করে চালানোটাই প্রধান বিষয়। যখন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি ছিলাম তখনো কিন্তু আমার কাজের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাহলে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি হলে কাজের ক্ষতি হবে, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই।