সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২৫ ওভারে ৯২/৫ (জাকের ২৯*, হৃদয় ২৯*; সৌম্য ০, শান্ত ০, মিরাজ ৫, তানজিদ ২৫, মুশফিক ০)
৯ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে রয়েছে বাংলাদেশ। ৩৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো লাল-সবুজ দল ১২.১ ওভারে এসে জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেছে। তাদের জুটি পঞ্চাশও ছাড়িয়েছে ষষ্ঠ উইকেটে।
অবশ্য তাদের জুটিতে ছিল ভাগ্যের ছোঁয়া। প্রথম বলেই জাকেরের ক্যাচ ছাড়েন রোহিত শর্মা। তার পর কুলদীপের প্রথম বলে হৃদয়কে জীবন দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যক্তিগত ২৪ রানে আবার জীবন পান জাকের। জাদেজার বলে স্টাম্পিং মিস করেছেন রাহুল।
বাংলাদেশ সর্বশেষ প্রথম দশ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়েছে ৫৫ ম্যাচ আগে ২০২২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
অক্ষরের জোড়া আঘাতে ভীষণ বিপদে বাংলাদেশ
শুরু থেকে বাকিদের সঙ্গ না পেলেও একার লড়াইয়ে মেরে খেলছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান। নবম ওভারে এসে তাকে ২৫ রানে থামিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। অবশ্য তানজিদ গ্লাভসবন্দি হয়েছেন কিনা সেটা নিয়ে স্পিনার অক্ষর প্যাটেল নিশ্চিত ছিলেন না। নিশ্চিত ছিলেন কিপার লোকেশ রাহুল। আম্পায়ার পল রাইফেল মাথা নাড়িয়ে আউটের সিগন্যাল দিলেও বেশ সময় গড়িয়ে গেছে। তানজিদ নিজেও রিভিউ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ায় বিদায় নিতে হয় তাকে। পরের বলে অক্ষরের জোড়া শিকার হন মুশফিকুর রহিম। ভাসানো বলে তাকে এগিয়ে এসে খেলতে বাধ্য করেন অক্ষর। ডিফেন্ড করতে চাইলেও শার্প ক্যাচ হয়ে অভিজ্ঞ মুশফিক শূন্য রানে ফিরেছেন। পরের বলে জাকের আলীরও ক্যাচ গিয়েছিল স্লিপে। কিন্তু রোহিত ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হলে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন অক্ষর।
মিরাজের বিদায়ে পড়লো তৃতীয় উইকেট, চাপে বাংলাদেশ
শুরুর দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলাতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান। তিনি হাত খোলার চেষ্টা করলেও প্রমোশন পাওয়া মিরাজের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ। প্রান্ত আগলে খেলার জন্য মিরাজকে নামানো হলেও সপ্তম ওভারে সামির শিকার হয়েছেন তিনি। স্লিপে তার ক্যাচ নিয়েছেন শুবমান গিল। মিরাজ আউট হয়েছেন ৫ রানে।
প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট হারালো বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিং নিলেও শুরুটা হতাশাজনক হয়েছে বাংলাদেশের। শুরুর দুই ওভারেই ফিরেছেন দুই ব্যাটার। প্রথম ওভারে মোহাম্মদ সামির বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ওপেনার সৌম্য সরকার শূন্য রানে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন। দ্বিতীয় ওভারে হর্ষিত রানার আঘাতে ফিরেছেন নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। বাজে টাইমিংয়ের খেসারত দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে সরাসরি কোহলির সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন তিনি। সৌম্যর মতো তিনিও শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নেই মাহমুদউল্লাহ
দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
তবে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন, টস জিতলে তারা শুরুতে বোলিং নিতেন। কারণ অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তার কাছে মনে হচ্ছে, আলোর নিচে ব্যাটিংটা সহজ।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়িয়েছিল ৮ বছর আগে ২০১৭ সালে। সেবার মাশরাফির বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে। বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি জিততে পারলেই স্বপ্নের ফাইনাল খেলতে পারতো বাংলাদেশ। হারলেও অবশ্য যে কোন বৈশ্বিক আসরে সেটাই ছিল বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।
একাদশে কারা
বাংলাদেশ তিন পেসার ও দুই স্পিনারকে নিয়ে খেলতে নামছে। মাহমুদউল্লাজ রিয়াদও নেই। পরে জানা গেছে, হালকা চোট রয়েছে তার। ম্যাচের আগে থেকে পেসার নাহিদ রানাকে নিয়ে আলোচনা চললেও একাদশে জায়গা হয়নি তার। পেস আক্রমণে তাসকিনের সঙ্গে রয়েছেন মোস্তাফিজ ও তানজিম হাসান। স্পিন আক্রমণে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা ও মোহাম্মদ সামি।