সেখানে আলাপকালে সাদিকুলের মা সিদ্দিকা খাতুন বলছিলেন, ‘হামার ছেলে ফিরে আসিছে। হামার আর কিছু দরকার নাই। কত জায়গায় খুঁজিছি, কত বাড়ি ঘুরিছি। যারা হামার ছেলেক এত দিন দেখিশুনে রাখিছে, আল্লাহ ওমার ভালো করুক।’
সাদিকুল বিবাহিত। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন। ছোটবেলায় পড়াশোনা না করায় বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করতেন। সাদিকুলের এক ছেলেসন্তানও আছে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
সাদিকুল ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত পুলিশের কয়েকজন সদস্য সাদিকুলকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় পাভলভ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই হাসপাতালে মানসিক ভারসাম্যহীনদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। যদিও ২০০৭ সালের শেষ দিকে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন সাদিকুল। তবে এই আট বছর কীভাবে কেটেছে, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কীভাবে কলকাতায় গেলেন, কিছুই মনে নেই তাঁর।