Homeদেশের গণমাধ্যমেরেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কেনাকাটায় অনিয়ম, অপচয় ৯৮ লাখ টাকা

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কেনাকাটায় অনিয়ম, অপচয় ৯৮ লাখ টাকা


নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রেকর্ড ১৮ এল (প্লাস্টিকের পাইপ খোলার রেঞ্জ) চাহিদা অনুযায়ী কেনার প্রয়োজন ছিল পাঁচটি। প্রতিটির দাম ২ হাজার ২৬৬ টাকা। এটা কেনা হয়েছে ১ হাজার ১০০টি। ছাড়ের পর মূল্য দাঁড়ায় ২৪ লাখ ৮১ হাজার ২৭০ টাকা। কাভারিং বক্সের চাহিদা ছিল ১০টি। প্রতিটির মূল্য ১১ হাজার ২৪০ টাকা। কেনা হয়েছে ২২২টি। ব্যয় হয়েছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৮০ টাকা। এলবো-১৮ এল (পানির পাইপ বাঁকা করার এল আকৃতির যন্ত্র) প্রতিটির দাম ৪ হাজার ৫৪২ টাকা। ১০০টি কেনার কথা থাকলেও কেনা হয়েছে ৫৫০টি। এতে ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা।

ট্র্যাকশন সেন্টার ইলাস্টিক যন্ত্র চাহিদা অনুযায়ী কেনার কথা ৫০টি। কেনা হয়েছে ২০০টি। প্রতিটির মূল্য ১২ হাজার ৪৯৭ টাকা। এতে ব্যয় হয়েছে ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা। ভেস্টিবুল ফল প্লেট কেনার কথা ছিল ৫০টি। কেনা হয়েছে ১৮০টি। প্রতিটির মূল্য ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১৮ লাখ ৪ হাজার ১০ টাকা। ড্রিল টুইস্ট (ড্রিল মেশিনের সামনের অংশ, যেটা দেয়ালের মধ্যে ঢোকে)-এর চাহিদা ছিল ৪ হাজার ২৯০টি। কেনা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০টি। প্রতিটির মূল্য ২৮০ টাকা ৬০ পয়সা। ব্যয় হয়েছে ২৩ লাখ ৩ হাজার ৭২৬ টাকা।

নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চাহিদার চেয়ে গড়ে তিন গুণের বেশি মালামাল ক্রয় করে অনিয়ম ও অর্থ অপচয় করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চাহিদার চেয়ে ১০ হাজার ২৪৭টি অতিরিক্ত মালামাল কেনা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ছয় ধরনের ৪ হাজার ৫০৫টি সামগ্রী কিনলে ব্যয় হতো ৩১ লাখ ৫১ টাকা। বাস্তবে চাহিদার চেয়ে বেশি মালামাল কিনে ব্যয় করা হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৬ টাকা। সে হিসাবে ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ২৮৫ টাকা বাড়তি অপচয় করা হয়েছে।



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত