রফিকুন নবী বলেন, ‘অন্য যেকোনো দেশে কথা বলার সুযোগ পেলেই বলি, অন্যদের কাছে রবীন্দ্রনাথ আর আমাদের রবীন্দ্রনাথের মধ্যে তফাত রয়েছে। আমাদের রবীন্দ্রনাথ ভিন্নতরভাবে ধারণ করা আছে। সেটা ষাটের দশক থেকে শুরু করেছি।’ তিনি বলেন, সম্মেলন পরিষদের এই আয়োজন শুধু সংগীত পরিবেশনের ব্যাপার নয়, এটি হচ্ছে বাঙালি হিসেবে নিজের সংস্কৃতিকে ধারণ করা। ব্যক্তিজীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব কতখানি, সে প্রসঙ্গে রফিকুন নবী বলেন, ‘রবীন্দ্রসংগীত না বাজিয়ে ছবি আঁকতে পারি না, রং আমার আসে না৷’
এ পর্বের সভাপতির বক্তব্যে মফিদুল হক বলেন, দেশ আজ এক সম্ভাবনা ও সংকটের দোলাচলে। মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, এর বহু ধারা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত শতকের আশির দশকে এই পরিষদ গঠনের সময়ই প্রত্যয় নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের গানকে আশ্রয় করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। কেননা গানই বাংলাকে বারবার প্রেরণা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, বাউল লালন সম্প্রীতিকে আক্রমণ করা হয়েছে, তবু এর মধ্য দিয়ে তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন হলো। মফিদুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এক মশাল থেকে একদিন অনেক মশালে আলো জ্বলবে। বিরুদ্ধবাদীরা যত আস্ফালনই করুক, মানবতার শক্তি দিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’