চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ দল। ভারত, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে খেলতে হবে। এই তিন দলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার কঠিন পথটা পাড়ি দিতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। প্রায় দুই মাস আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া কোনও প্রতিযোগিতামূলক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। মূল মঞ্চে নামার আগে সোমবার পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল লাল সবুজ জার্সিধারীরা। ম্যাচটিতে ব্যাটাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, বোলিংয়ে হয়তো পুষিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু বোলাররাও হতাশ করেছেন। তাসকিন-মোস্তাফিজ-নাসুম-রিশাদরা মাত্র তিনটি উইকেট নিতে পেরেছেন পাকিস্তান ‘এ’ দলের। বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের জবাবে ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান শাহিনস।
দুবাইয়ে সোমবার একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ভালো সূচনাও পায় তারা। ওপেনার সৌম্য সরকার ব্যাট করেন চেনা ছন্দে। তবে হতাশ করেছেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দশ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে দাঁড়ায় ৬০। তানজিদ হাসান ৬ এবং শান্ত ১২ রানে আউট হয়েছেন।
দুর্ভাগ্য দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা সৌম্য রান আউটে কাটা পড়েন। ৩৮ বলে ৪ চারে সৌম্য খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। তাওহীদ ২০ রানে ফিরতেই ভাঙে জুটি। তার পরেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ ৮৩ রানে শান্তরা হারায় ৬টি উইকেট। সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেললে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়ায় ২০২ রানে।
পাকিস্তান শাহিনসের বোলারদের মধ্যে ওসামা মীর সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নেন মোব্বাসির খান।
বাজে ব্যাটিংয়ের পর শান্তর দল স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০২ রান তুলতে পারে। তার পরেও আশা ছিল, মামুলি এই স্কোরেই ভালো লড়াই করবেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু তাসকিন,মোস্তাফিজরা কিছুই করতে পারেনি। বাংলাদেশের বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান শাহীনস ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ হারিস।
নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশের ৮ বোলারকে ব্যবহার করেও সাফল্য পাননি। নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর বাইরে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজরা ছিলেন উইকেট শূন্য। অনিয়মিত পেসার সৌম্য সরকারও সুবিধা করতে পারেননি। এছাড়া লেগ স্পিনান রিশাদ হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে সহজেই খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা।