২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বুয়েট ক্যাম্পাসে লিখিত পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল ৯৮.৮৭ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ভর্তি কমিটির সভাপতি ও যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহরুল হকসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক।
পরিদর্শনকালে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও মনোযোগ বিনষ্টের কথা বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার কোনো কক্ষে প্রবেশ করেননি।
দুই শিফটে প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মডিউল-‘এ’ এবং প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগের জন্য মডিউল-‘বি’ ভর্তি পরীক্ষা হয়।
প্রথম শিফটে মডিউল-‘এ’ পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয়। এ শিফটে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা হয়। দ্বিতীয় শিফটে মডিউল-‘বি’ পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হয়। এই শিফটে ‘খ’ গ্রুপের জন্য উন্মুক্ত পাঠ্যসূচিতে মুক্তহস্ত অঙ্কন (Freehand Drawing) এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি (Visual-Spatial Intelligence) বিষয়ে পরীক্ষা হয়।
বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা হয় দুই ধাপে— প্রাক-নির্বাচনি ও লিখিত পরীক্ষা। এর আগে নির্বাচিত আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ২৪ হাজার ২১১ জন গত ২৩ জানুয়ারি তিন শিফটে প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নেন।
প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের প্রথম থেকে ২৫০০তম পর্যন্ত তিন শিফটে (মডিউল-এ ও মডিউল-বি) মোট ৭ হাজার ৫৫২ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে প্রথম শিফটে ২ হাজার ৫২০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ২ হাজার ৫১২ জন ও তৃতীয় শিফটে ২ হাজার ৫২০ জন নির্বাচিত হন। নির্বাচিতদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৯১ জন ছাত্র এবং ১ হাজার ৬৬১ জন ছাত্রী।
কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি (কোনো বিভাগে একটি আসনের বেশি নয়) ও স্থাপত্য বিভাগের জন্য একটি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট ১ হাজার ৩০৯টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
চূড়ান্ত ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সর্বশেষ তারিখ ৮ মার্চ, ২০২৫।