যেমন যন্ত্রে উৎপাদিত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। ফলের রস ও ফ্রুট ড্রিংকসের ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি এ খাতের উদ্যোক্তারা এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর ফলে ৫ টাকার বিস্কুট ৭ টাকা, ১০ টাকার বিস্কুট ১৩ টাকা, ২০ টাকার জুস ২৫ টাকা ও ২৫ টাকার জুস ৩৩ টাকা হবে। তিনি গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভ্যাট বাড়ানো হলেও আমরা এখনো দাম বাড়াইনি। বাড়তি ভ্যাটের টাকা আমরা কোম্পানি থেকে ভর্তুকি হিসেবে দিচ্ছি। কারণ, আমরা আশাবাদী সরকার মানুষের ওপর খরচের এই বাড়তি চাপ তুলে দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। এ জন্য আমরা আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে চাই।’
সরকার ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। পরে সমালোচনার মুখে ২২ জানুয়ারি আট ধরনের পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের আগের পর্যায়ে নেওয়া হয় অথবা কিছুটা কমানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার, রেস্তোরাঁর খাবার, পোশাক, মিষ্টি, নন-এসি হোটেল, মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ। তবে বাকি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাটের হার আগের জায়গায় ফেরেনি।
সরকার কর বাড়িয়ে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। সরকারের উপদেষ্টারা বলছিলেন, কর বাড়ানো হলেও মানুষের ওপর খুব বেশি চাপ তৈরি হবে না। কারণ, বিভিন্ন নিত্যপণ্যে আগেই শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদেরা বলছিলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির মধ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো ঠিক হয়নি। আগামী বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেত। ধনীদের ওপর কর বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপরও দেওয়া দরকার।