Homeদেশের গণমাধ্যমেনিজস্ব প্রযুক্তিতে আয়রন ডোম বানাবে তুরস্ক

নিজস্ব প্রযুক্তিতে আয়রন ডোম বানাবে তুরস্ক


ইসরায়েলের আয়রন ডোমের আদলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্ক। শিগগির বহু-স্তরবিশিষ্ট সেই ব্যবস্থা মোতায়েন করার আশা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোয়ান। খবর রয়টার্সের।

তুরস্কের নিজস্ব সেই ব্যবস্থার নাম হবে ‘স্টিল ডোম’। একই সময়ে আঙ্কারা তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাও বাড়াবে।

ন্যাটো সদস্য তুরস্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানিনির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। বিপরীতে তারা অস্ত্র রপ্তানি বাড়িয়েছে। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে সশস্ত্র ড্রোন প্রস্তুতকারক শীর্ষস্থানীয় দেশ তুরস্ক। এ ছাড়া নিজস্ব প্রতিরক্ষা চাহিদার বেশিরভাগ দেশেই উৎদন করছে তারা।

এ লক্ষ্য অর্জনে অন্যতম অংশীদার তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (টিইউএসএএস)। প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে গত সপ্তাহে কুর্দি জঙ্গিদের হামলা তুরস্কের উদ্বেগ আরও বাড়ায়। এখানেই মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্য বহু-স্তর বিশিষ্ট বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এখন অনেক ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে। তাদের (ইসরায়েল) যদি একটি ‘আয়রন ডোম’ থাকে, তাহলে আমাদের একটি ‘স্টিল ডোম’ থাকবে। আমরা তাদের দিকে তাকাব না। বরং বলুন, কেন আমাদের কাছে সে ব্যবস্থা নেই। তবে কবে নাগাদ স্টিল ডোম যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী করা যাবে সে ব্যাপারে এরদোয়ান নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি।

এদিকে আফ্রিকায় প্রভাব বাড়াচ্ছে তুরস্ক। সেখানে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। নাইজেরিয়ার কাছে যুদ্ধ হেলিকপ্টার বিক্রয় ও প্রশিক্ষণ বিমানের পাশাপাশি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে চালকবিহীন টিবি২ বায়রাকতার ড্রোন বিক্রির মাধ্যমে তুরস্ক সাব-সাহারান আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারীতে পরিণত হয়েছে।

শুধু তাই নয়, তুরস্ক আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য নিজেদের একটি প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। দেশটির সংসদ সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সোমালিয়ায় দুই বছরের জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েনের আইন অনুমোদন করেছে।

সর্বশেষ এরদোয়ানের স্টিল ডোম নিয়ে বক্তব্যে সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, বৃহৎ সামরিক শক্তিতে পরিণত হতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তুরস্ক।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত