নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৯:৩২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ফাইল ফটো
যশোরের ঝিকরগাছায় মাথার চুল কেটে ও মুখে কালি মাখিয়ে এক নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। রবিবার (২ জানুয়ারি) রাতের ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ বলে জানান ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঝিকরগাছার বনেয়ালি কলাবাগানপাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে শিমুল হোসেন, পদ্মপুকুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি, বেনেয়ালি গ্রামের মফিজুর ড্রাইভারের স্ত্রী রনি বেগম ও পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তার ছেলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি মেয়ের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর মেয়েটি একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শিমুলকে বিয়ে করেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছেলের সাবেক স্ত্রীকে দেখতে যান তিনি। এ সময় সাবেক পুত্রবধূর স্বামী শিমুল হোসেন, চাচি শারমিন আক্তার রুমি, চাচি শাশুড়ি রনি বেগম, মা রহিমা বেগমসহ ওই বাড়ির লোকজন মিলে ভুক্তভোগীর মাথার চুল কেটে দিয়ে মুখে কালি মাখিয়ে দেন। এ সময় তারা বাঁশের লাঠি দিয়েও তাকে মারধর করেন।
তিনি আরো জানান, শুধু মারধর করেই তারা থেমে থাকেননি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাকে শিমুলের বাড়ির পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। কোথাও অভিযোগ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করার ভয় দেখান অভিযুক্তরা। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গদখালি ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, “শুনেছি, তাবিজ-কবজ (যাদু টোনা) সন্দেহে এক নারীকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে।”
ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, “ভুক্তভোগী তার ডিভোর্সি পুত্রবধূকে দেখতে তার নতুন স্বামীর বাড়ি যান। মেয়েটির স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে মাথার চুল কেটে দেন। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ