Homeদেশের গণমাধ্যমেজুলাই আন্দোলনে আহতরা এখনও কেন রাস্তায়!

জুলাই আন্দোলনে আহতরা এখনও কেন রাস্তায়!


জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতরা তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, উন্নত চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং আজীবন ভাতা সহায়তাসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও ও শ্যামলী-মিরপুর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন তারা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সড়ক ছেড়ে দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যান আন্দোলনকারীরা। এদিকে, আন্দোলনে আহতদের দাবির বিষয়গুলো নিয়ে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা।

এরআগে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর (বুধবার) জুলাই আন্দোলনে আহতরা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) তথা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলেন। সেই সময়ে মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ৩টার দিকে তারা সড়ক ছাড়েন। পরদিন ১৪ নভেম্বর দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আহতদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করা হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি- সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে দাবিপূরণে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ তিন মাস পরও তাদের একটি দাবিও পূরণ করা হয়নি বলে জানান আন্দোলনকারী আহতরা।

জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুযোগ-সুবিধার জন্য কেন বারবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে আহত যোদ্ধাদের— এমন প্রশ্নে নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সরকারের বৈধতা দিয়েছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীরা। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন, তারাই এই সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সরকার গঠনের পরপরই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। অথচ আন্দোলনে আহতরা তাদের দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। এটা হওয়ার কথা ছিল না। এরমানে সরকার জুলাই আন্দোলনে আহতদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক, কেন তারা রাস্তায় নামবে? তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা দরকার ছিল।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দুইটার দিকে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে কথা হয় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত কয়েকজনের সঙ্গে। আন্দোলনে আহত হয়ে তাদের বেশিরভাগই চোখ, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছেন। ৫ আগস্ট সাভার-আশুলিয়ায় আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েছে, জনগণের সরকার হয়েছে। অথচ তাদেরকেই গত ছয়মাস ধরে অবহেলায় পাত্র বানিয়ে রাখা হয়েছে। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। এই সরকার আমাদের আগে মূল্যায়ন করা দরকার ছিল। একটি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর আবার আমরা কেন দাবি-দাওয়ার জন্য সড়কে আন্দোলন করবো। এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনও মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কিংবা আমাদের উপার্জনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমাদের তো পরিবার আছে, সংসার আছে।’

জুলাই আন্দোলনে আহত আরিফুল ইসলাম তনয় বলেন, ‘আমরা গত ছয় মাস ধরে বিছানায় বসা। আমরা প্রত্যেকেই শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গ হারিয়েছি। চাইলেই অন্য সবার মতো কাজ করার সক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের তো সংসার আছে, পরিবার আছে। তাদের দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। গত ছয় মাস ধরে আমরা কর্মহীন আছি। তাহলে আমরা এখন কী করবো! পঙ্গু হয়ে জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে পাওয়াই ভালো ছিল।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের সহায়তা নিয়ে রবিবার (২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, আন্দোলনের ট্রমার কারণে নির্দিষ্ট সময় পর পর আহতদের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হচ্ছে। আমাদের যে মানসিক স্বাস্থ্যগত যে প্রস্তুতি, মেন্টাল ট্রমা বা পিটিএইচডি (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার) অ্যাড্রেস করার আমাদের যে সামর্থ্য সেটা যথেষ্ট না। এরকম হাজার হাজার যোদ্ধার পিটিএইচডি অ্যাড্রেস করার সামর্থ্য নেই বিধায় আমাদের ধারণা তাদের মধ্যে একটা বিস্ফোরণ হয় নির্দিষ্ট সময় পর পর। অবশ্যই আমাদের কোনও ত্রুটি বা বিচ্যুতি এটাকে স্পার্ক করে, কিন্তু মূলত একটা পিটিএইচডি সাইকেলে ওনাদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ক্ষোভ বিস্ফোরিত হচ্ছে।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশের ব্যারিকেডে পড়েন আহতরা

আহতরা প্রায়ই রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে, এটি বন্ধে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, এটা বন্ধ করা নয়, আসলে আহতরা ৫-৬ মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এতে করে ওনাদের যে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে সেটি প্রশমনে আমরা যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। তাদের কাছ থেকে দুইটি দাবি আছে। গতকাল রাতে আহতরা বলেছেন, যোদ্ধাদের ক্যাটাগরি করার ক্ষেত্রে আলোচনার মধ্যমে সমাধান করা এবং আজকে আমরা যেটা পেয়েছি যে আহতদের ক্যাটাগরি সঠিকভাবে প্রণয়নের বিষয়টি। আমরা দুইটাই করার জন্য বলেছি। যদি কেউ কারও ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে চান, ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রস্তাবনা দিক আমরা দুটোই বিবেচনা করবো।

সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকার একটি রূপরেখা তৈরি করেছে। এটি গাইডলাইন আকারে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে আন্দোলনে আহত হয়ে যারা কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের আজীবন ভাতা দেওয়া হবে এবং প্রত্যেকের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ও আজীবনের জন্য তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

আহতদের তালিকা কত দূর!

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আহত ১২ হাজার ৩৮০ জনের নাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি নিহতদের তালিকার গেজেট প্রকাশ হলেও আহতদের তালিকার কোনও গেজেট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় এবার নামের সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ছবি যুক্ত করার কাজ চলছে। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত যোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুতিতে সময় লাগার কারণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, শহীদদের তালিকায় ছবির বাধ্যবাধকতা ছিল না। সেই কারণে গেজেট নোটিফিকেশন ছিল যথেষ্ট। আহতদের ক্ষেত্রে তাদের নামের সঙ্গে ছবি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই ছবি আপলোডের সময়সীমা ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে সাহায্য করার জন্য তাদের ছবির পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আগের পেশার তথ্য আমরা যুক্ত করতে চেয়েছি, যেন আমাদের ডাটাবেজ তাদের পুনর্বাসনে সাহায্য করতে পারে। সরকারের সব মন্ত্রণালয়, অধিদফতরসহ সব সংস্থা মিলে এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন।

এক পর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে যমুনা অভিমুখে যান আন্দোলনকারীরা

আহতদের আজীবন ভাতা ও চিকিৎসা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি বেশি সহানুভূতিপ্রবণ। তাদের বিষয়টি নিয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে। শহীদদের ব্যাপারেও সরকার দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের ব্যাপারেও ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে সেই তালিকা সম্পন্ন করতে পারবো। এ সপ্তাহের মধ্যে অধিদফতরের অধীনে একটা নীতিমালা হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে সরকার আহত-নিহতদের যাবতীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এ ত্যাগ ইতিহাসে অমোচনীয় এবং এই গৌরব জাতি সমভাবে তাদের সঙ্গে ধারণ করে। তাদের আত্মত্যাগের গৌরব আমরা অমলিন করে রাখতে চাই। এটা যেন আগামী অনাগত কালেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। আহত-নিহতদের সহায়তার জন্য চলতি অর্থবছর ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আহতদের আজীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন।’

বিদেশে চিকিৎসার দেখভাল করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

আন্দোলনে গুরুতর আহতদের বিদেশে পাঠানো ও চিকিৎসার দায়িত্ব স্থানান্তর করা হয়েছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে। তবে আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সহায়তা করবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর। সেটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। এই অধিদফতরের কাজ হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন। তাই বিদেশে চিকিৎসার দায়িত্ব সেখানে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারণ এটি ফলোআপের ওপর রাখতে হবে।

গভীর রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে রাজধানীর চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭৮ জন। আন্দোলনে গুলিতে চোখ নষ্ট হয়েছে চার শতাধিক ব্যক্তির। এর মধ্যে দুই চোখ হারিয়েছেন অনেকে। আর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আছেন ৯৮ জন। তাদের মধ্যে ২১ জনের হাত-পা কাটা গেছে। কারও গুলিবিদ্ধ স্থানে টিস্যু প্রতিস্থাপন করা লেগেছে। এদের অনেকেরই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।

আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারানোরা পাবেন আজীবন ভাতা   

আহতদের পুনর্বাসনের বিষয়ে বলা হয়েছে, গুরুতর আহতদের হাসপাতালে রেখে শারীরিক পুনর্বাসনের জন্য ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে শহীদ পরিবারের নিকটতম কোনও সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক বা সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। শহীদ পরিবারের নিকটতম সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে।

এছাড়া, আহতদের মধ্যে যারা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্ধত্ববরণ করেছেন, কিংবা আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন— তাদের পছন্দ অনুযায়ী, সামর্থ্য ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতদের মধ্যে যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছেন কিংবা অন্ধ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের আজীবন ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের একজনকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে সহায়তা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আহতদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

আহতদের আইনি সহায়তা দেবে সরকার

আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে সরকারের দেওয়া আইনিসেবা আহতদের ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে। অর্থাৎ, আহতরা চাইলে সরকার বাদী হয়ে মামলা করতে পারবে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত