আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ক্যামেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সেলিম রেজা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান, কৃষি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষের তাহমিদ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইয়াজদানী, আসাদুল্লাহ ও খালিদ। আহত একজনের নাম জানা যায়নি। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে ব্যাংকপাড়া নতুন স্কুল রোডে দেখেন, ১০–১৫ জন লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ-ছয় জন শিক্ষার্থীকে পেটাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে দৌড়াচ্ছেন। পরে জানতে পারেন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা টিউশনি করে গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ায় মেসে ফিরছিলেন। নতুন স্কুল রোডে পৌঁছালে ইফতি নামের এক যুবকসহ আর কয়েকজন সেলিম রেজার পথরোধ করেন। তখন সেলিম রেজাকে তাঁরা বলেন, “তুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িস, তুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক। তোর সমন্বয়কগিরি দেখাচ্ছি।” এই বলে তাঁরা সেলিম রেজাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে সেলিম রেজা দৌড়ে তাঁর মেসে গিয়ে বিষয়টি জানান। মেস থেকে তাহমিদ, মুয়াজ বিল্লাহ, ইমরান, ইয়াজদানী, আসাদুল্লাহ ও খালিদ বের হয়ে এলে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের মারধর করা হয়। এ সময় তিনি ফোন করে থানা–পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।