Homeদেশের গণমাধ্যমেখুলনায় ছাত্রদের দুপক্ষের সংঘর্ষের অভিযোগ, আহত ১৫

খুলনায় ছাত্রদের দুপক্ষের সংঘর্ষের অভিযোগ, আহত ১৫


খুলনায় ছাত্রদের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা। আহত কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, শিববাড়ি মোড়ে জিয়া হলের ভেতরে বালুর মাঠে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন এসে আমার বাইকের পেছনে থাকা হাজী মহাসীন কলেজের ছাত্র নাজমুলকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এরপর আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও মারতে আসে। এ সময় আমাকে বাঁচাতে কয়েকজন ছাত্রী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করে।

তিনি বলেন, আমরা আটজনকে আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে সরকারি পাইওনিয়ার কলেজের ছাত্রী দিয়া এবং সিটি কলেজের ছাত্রী সাদিয়া গুরুতর আহত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা নাজমুল ও শাহারিয়ার খালিদসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে আমরা গভীরভাবে আহত।

তবে এ বিষয় ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে আহত অপর এক ছাত্র সাকিব রেজা। সরকারি সিটি কলেজের ছাত্র সাকিব বলেন, মূলত বাপ্পী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ ছাত্রদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানে অছাত্র নিয়ে যায়। এই নিয়ে তার সঙ্গে আজ সমাজসেবা অফিসে আমার এক দফা তর্ক হয়। এরপর আমি শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান করলে ওরা বেশ কয়েকজন এসে আবারও এই বিষয় নিয়ে তর্কে জড়ায়। বাপ্পীর সঙ্গে থাকা নাজমুল নামে একটি ছেলে আমার ওপর চড়াও হয়। আমিও প্রতিবাদ করলে সঙ্গে থাকা কয়েকটি মেয়ে আমার গায়ে হাত তোলে। এ ছাড়া বাপ্পী আমার হাতে ইট দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা সাতজন আহত হয়।

সরেজমিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিনজন আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে একজনের অক্সিজেন চলছে।

সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত সহকারী রেজিস্ট্রার মো. কনক হোসেন জানান, এখানে যারা আছেন তাদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, এটা দুপক্ষের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না।

এ বিষয়ে জানতে কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত