রঙে ও উপকরণে বৈচিত্র্য
যদি সব চেয়ারের মধ্যে দুটি চেয়ারের জন্য ভিন্ন রং চান, তাহলে কোমল ধাঁচের ল্যাভেন্ডার, গাঢ় সবুজ, হালকা জলপাই, টিয়া বা কমলা রঙের মধ্যে যেকোনো রং বেছে নিতে পারেন। নীল আর ফিরোজার মিশেলে সৃষ্ট চাপা কোনো নীলাভ রং কিংবা নীলের অন্যান্য চাপা ধাঁচের শেডও সুন্দর দেখায়।
আবার নিরপেক্ষ রং একেবারেই না রাখতে চাইলে সব কটি চেয়ারই এ রকম রঙে করা যেতে পারে। চেয়ারের পুরোটাই হতে পারে ‘মোড়ানো’ ধরনের। কোনোটার আবার পিঠ ও আসন হয় ‘মোড়ানো’ ধরনের। পায়ায় থাকতে পারে কাঠ, বোর্ড বা ধাতব উপকরণ।
আকার-আকৃতিতে ভিন্নতা
চেয়ারের আকার-আকৃতি হতে পারে নানা রকম। কোনোটার নকশা আবার নিচ দিক থেকে চওড়া হয়ে ওপরের দিকে সরু হয়ে গেছে এমনও দেখা যায়। ঢেউখেলানো নকশাও হতে পারে। কাপড় মোড়ানো হলে কিন্তু চারকোনা চেয়ারেও খানিকটা গোলাকার ভাব চলে আসে।
আবার কোনো চেয়ারে হাতল থাকে, কোনোটিতে থাকে না। কোনোটির হাতল আবার মিশে যায় পিঠের অংশের সঙ্গে। সব মিলিয়ে অনেকভাবেই বৈচিত্র্য হতে পারে। আপনার পছন্দ ও বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন পরিপাটি নকশার চেয়ার। তবে খেয়াল রাখবেন, দামের কারণে মানের সঙ্গে যেন আপস করতে না হয়। চাইলে খাবার টেবিলের এক দিকে কাঠের বেঞ্চও রাখতে পারেন।
ছোট্ট অন্দরে বেঞ্চের ব্যবস্থা রাখা ভালো। কম বয়সীরা বেশ আরাম করেই বসতে পারে এমন ব্যবস্থায়। বেতের চেয়ারে সাদা গদি বসিয়ে দিতে পারেন। বেতের টেবিলে বসানো কাচের ওপরে পাটের রানার, পাটের টেবিল ম্যাট বিছিয়ে দিতে পারেন।