সাবেক সাংবাদিক নেতার শেল্টারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আটক হন হত্যা মামলার আসামি বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাস। প্রক্টর অফিসে রেখে পুলিশ ডাকতে যান শিক্ষার্থীরা। আধা ঘণ্টা পর ফিরে এসে প্রক্টর অফিসে কাউকে পান নি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিকেলের দিকে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা আবু বকরের সঙ্গে জন সুশান্ত বিশ্বাস নামে একজন ব্যক্তিসহ জুলাই হত্যা মামলার আসামি ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিল্টন বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। জিজ্ঞাসা করলে মিল্টন বিশ্বাস জানান, তিনি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিনের কাছে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছেন।
পরে শিক্ষার্থীরা মিল্টন বিশ্বাস, জন এবং আবু বকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রইস উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে প্রক্টর অফিসে মিল্টন বিশ্বাসকে রেখে কোতোয়ালি থানায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান শিক্ষার্থীরা। পুলিশকে মেইন গেটের সামনে রেখে প্রক্টর অফিসে এসে কাউকে পান নি শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রক্টরকে বলেছিলাম, যেহেতু তিনি হত্যা মামলার আসামি। তাকে পুলিশে দিয়ে দেন। তিনি রাজি হন নি। পরে আমরা পুলিশ ডাকতে থানায় গিয়েছি। আমরা ইফতারও করি নি। আধা ঘণ্টা পর ফিরে এসে প্রক্টর অফিসে কাউকে পাই নি। প্রক্টর অফিসের কেউ জানে না বলে বলতেছে।
আরেক শিক্ষার্থী শাহীন মিয়া বলেন, আমরা থানা থেকে বেরিয়ে ইফতার করতে গেছি। ফিরে এসে দেখি প্রক্টর ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে কেউ ছিল না। যে গার্ড ছিল, সে কিছু স্বীকার যায় না।
এ ব্যাপারে জবি সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, আমি তাদের প্রক্টর অফিসে রেখে একটা ইফতার করতে গেছি। প্রক্টরদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরে কী হয়েছে, জানি না।
এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমি কিছু জানি না। আগেই আমি ক্যাম্পাস থেকে চলে আসছি। পরে জানতে পারছি, শিক্ষার্থীরা তাকে নিয়ে আসছে। সে চলে গেছে। আমরা তো জানি না। ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপদ এলাকা। এখান থেকে ধরে কাউকে পুলিশে দেওয়া- একটা বাজে দৃষ্টান্ত। এতে সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভালো কোনো বার্তা যাবে না। সুতরাং আশা করব, শিক্ষার্থীরা এগুলো করবে না।
তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ইফতার করতে গেছে যখন, তখন হয়তো চলে গেছে।
অফিসে থাকা সহকারী প্রক্টর ড. ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমি তাদের স্টাফদের কাছে রেখে ইফতার করতে চলে আসি। পরে আর যায় নি। পরে কী হয়েছে, জানি না। হয়তো প্রক্টর স্যার আর রইস স্যার মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।