জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাড়িচালক খুব বাজেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। আমি তাকে সাবধান করায় সে আমাকে বলে ‘‘আপনে আইসা গাড়ি চালান।’’ আমি সানারপাড়ে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে ওই চালক জবাব দেয় ‘‘এমন ফাঁপড় অনেকেই দেয়।’’ আমি তখন ফোনে আমার লোকজনকে সানারপাড় থাকতে বলি। ভাবনা ছিল চালককে কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দেব। আমি কিছু করার আগেই আমার লোকজন চালকে মারধর করে। চালক তখন নিজের নানা পরিচয় দিচ্ছিল। আমি তখন আমার ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়েছি।’
এ সময় ভুলবশত তাঁর লোকজন একজন যাত্রীর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা। বিষয়টির জন্য তিনি ওই যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানান।
হেনস্তার শিকার ওই যাত্রীর নাম মিনহাজ আমান। তাঁকে হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)’। বিবৃতিতে মিনহাজ আমানকে একজন ফ্যাক্ট–চেকিং সাংবাদিক উল্লেখ করে বিজেআইএমের আহ্বায়ন স্যাম জাহান ও সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
মিনহাজ আমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চালক খুব বাজেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। তখন ওই বিএনপি নেতা চালকে ধমক দেন। আমিও চালককে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলি। চালক তখন বলে ওঠে ‘‘আপনারা আইসা গাড়ি চালান।” এ নিয়ে তর্কের জেরে ওই বিএনপি নেতা লোকজন নিয়ে গাড়িটি ভাঙচুরের পর চালককে মারধর করে। আমি তখন সেই নেতাকে বলি গাড়ির চালক তো কোনো দোষ করেনি। গাড়ি কেন ভাঙলেন? এ কথা বলায় তারা আমাকেও মারধর ও হেনস্তা করেছে।’
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’