Homeজাতীয়মাছের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ৩টি অংশ কখনোই ফেলে দিবেন না!

মাছের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ৩টি অংশ কখনোই ফেলে দিবেন না!


সুস্থ থাকতে কোন ধরনের মাছ খাবেন? কোন মাছ খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরণের রোগের জন্ম হবে? কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে রান্না করে মাছ খেলে শরীরে কাজে লাগবে?  আজকাল মাছ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সবাই ওমেগা থ্রি সম্পন্ন মাছ খেতে বলছেন। এই ওমেগা থ্রি আসলে কি? এর মানে হলো অসম্পৃক্ত চর্বি। 

সম্পৃক্ত চর্বি আমাদের হার্টের জন্য যতটাই ক্ষতিকর, এই অসম্পৃক্ত চর্বি ততটাই উপকারি। আর অসম্পৃক্ত চর্বিসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সামুদ্রিক মাছে। যেমন, রুপচাঁদা মাছ। এছাড়াও যেকোন ধরণের সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি পাবেন। দেশিয় মাছের মধ্যে ইলিশে সবচেয়ে বেশি ওমেগা থ্রি রয়েছে। এছাড়াও রুই কাতল এবং যেকোনো দেশিয় মাছ যেগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে উঠেছবর্তমান সময়ে শরীরে রোগ জন্ম নেয় সেই সকল মাছে খেলে যেসকল মাছ রাসায়নিক উপাদানের মাধ্যমে খুব দ্রুত চাষ করে বড় করা হয়। এর মধ্যে প্রথমে তেলাপিয়া এবং পাঙ্গাসের নামটি উঠে এসেছে। 

এখানে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন, তেলাপিয়া আর পাঙ্গাস খেলেই মানুষ অসুস্থ হবে। এ ধারনাটি সঠিক নয়। বাজারে পাওয়া সব তেলাপিয়া এবং পাঙ্গাস যে রাসায়নিক ভাবে বড় করা হয়েছে। তা কিন্তু সত্য নয়। অনেক তেলাপিয়া মাছ যেগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে পুকুরে বড় করা হয়। সেগুলো খেলে কিন্তু কোন ক্ষতি নেই।

বরং পাঙ্গাস মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা থ্রি রয়েছে।  সমস্য তখনই হয় যখন এই মাছগুলোকে রাসায়নিক উপাদানের মাধ্যমে খুব দ্রুত বড় করা হয়। তখনি সেই মাছগুলো হার্টের জন্য অত্যান্ত ক্ষতির কারণ হয়।

কোন পদ্ধতিতে মাছ রান্না করে খেলে শরীরে জন্য কাজে লাগবে?

মানুষের মধ্যে মাছ ভেজে খাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি রয়েছে। কারণ মাছ ভাজা খেতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু আপনি ভাজা মাছ খেলে মাছের পুষ্টিগুণ কি অক্ষুণ্ণ থাকে? না, থাকে না। মাছ ভাজা খাবেন না। এখন কথা থেকে যায়, মাছ না ভেজে খাবেন কি করে?  আসল কথা হচ্ছে, খুব বেশি তেল দিয়ে অনেক ভেজে খাবেন না।  

মনে রাখবেন, বেশি তেল দিয়ে মাছ খুব বেশি করে ভাজলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরেল এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এতে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। হৃদ রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 

যদি আপনি মনে করেন, সপ্তাহে ৩-৫ দিন মাছ ক্ষেতে চান, তাহলে হালকা তেলে ভেজে মাছ রান্না করে খেতে পারেন।

আবার কেউ যদি ভাঁজা ছাড়া সরাসরি স্টিম করে গ্রিল করে মাছ খেতে পারেন, তাহলে মাছের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। গ্রিল করে খেলে মাছের চামড়ার বাইরের অংশটা পুড়ে যায় সেটা বাদ দিয়ে ভিতরের সেদ্ধ হওয়া মাংসটা খেতে হবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, মাছ কাটার সময় মাছের ফুলকো কানকো ও চোখ এই সকল অংশগুলো ফেলে দিবেন না। কারণ মাছের ৯০ ভাগ পুষ্টিগুণ থাকে এই সকল উপাদানে।  





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত