পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, চলতি বছর থেকেই গত সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। আর আগামী অর্থবছরগুলোতে আসল ঋণ পরিশোধের ব্যাপক চাপ বাড়বে। এরপরও বিদেশি ঋণ আমাদের জন্য খারাপ নয়।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
ভিয়েতনামের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশটি অনেক বিদেশি ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু তারা তো কোনও সমস্যায় পড়েনি। বিদেশি ঋণ যদি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ তৈরি করে তাহলে ভালো। বিদেশি ঋণ বেশি নিলেও সেটি যেন উৎপাদনশীল কাজে লাগানো যায়। বিদেশি ঋণ নিয়ে রফতানিমুখী খাতে ব্যয় করা হবে।
বাজেট ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এবার উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) সংশোধনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দেশীয় অর্থায়নের চেয়ে বৈদেশিক অর্থায়ন বেশি হবে। যেমন বৈদেশিক ঋণ হবে উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬০ ভাগ আর দেশীয় অর্থায়ন হবে ৪০ ভাগ। রাজস্ব আয় না বাড়ার কারণে এ উদ্যোগ আছে। তবে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ প্রকল্পের চীনের অর্থায়ন আছে উল্লেখ করে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মহামুদ বলেন, আমরা খতিয়ে দেখেছি এই ঋণের ক্ষেত্রে কোনও দুর্বলতা বা ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে কী না, সেটি হয়নি। গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প আমাদের সরকারের নয়, গত সরকারের ছিল।
তিনি বলেন, চলমান প্রকল্প চলছেই। সেগুলো তো মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না। তবে অবকাঠামো অংশ বাদ দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে। যেমন— শুধু মেডিক্যাল কলেজ বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো যন্ত্রপাতি পরিচালনা এবং শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষ শিক্ষক নেই। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু ৮০ শতাংশ শিক্ষক নেই। সেজন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হবে।