Homeজাতীয়কোটা নয়, মেধার ভিত্তিতে উপসচিব পদে পদোন্নতি চান বিসিএস শিক্ষককেরা

কোটা নয়, মেধার ভিত্তিতে উপসচিব পদে পদোন্নতি চান বিসিএস শিক্ষককেরা


বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার-বহির্ভূত করার পরিকল্পনার প্রতিবাদ এবং উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতিসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি দাবি পূরণে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। দাবি পূরণ না হলে ৩১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজিব উদ্দিন।

তাজিব উদ্দিন বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডার-বহির্ভূত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এ ধরনের পরিকল্পনা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তাকে তীব্রভাবে আহত করেছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ফেলেছে। এটি রাষ্ট্রকে দীর্ঘ মেয়াদে অস্থিতিশীল করার মতো একটি পদক্ষেপ।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন এবং সিভিল প্রশাসনকে যুগোপযোগী করার পরিবর্তে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা অযৌক্তিক এবং দায়িত্বহীন।’

সংগঠনটি তাদের ১৫ দফা দাবির মধ্যে উপসচিব পদে শতভাগ কোটা উন্মুক্ত করা, কর্মভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, শিক্ষায় ৬ স্তরের পদ সোপান সৃষ্টি, বদলি নীতিমালা কার্যকর, নন-ভেকেশনাল বিভাগে গবেষণা কার্যক্রম উন্নয়ন, অধ্যাপক গ্রেড তৃতীয় পর্যায়ে উন্নীত করা ইত্যাদি উল্লেখ করেছে।

সংগঠনের নেতারা বলেন, আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণের জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকলে ৩১ ডিসেম্বর থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রুহুল কাদির, অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আলম মাহমুদ সোহেল, অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল হাসান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদির প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

উপসচিবের শতভাগ পদে মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সিভিল সার্ভিসের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে তাঁরা কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন। অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে নিজ নিজ ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন।

কিন্তু জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের বক্তব্যের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সব অফিসে এক ঘণ্টা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনে উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত