মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক-২০২৫ পাচ্ছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, আবরার ফাহাদ এবার মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন। তবে তার কোন ক্যাটাগরিতে পাওয়া উচিত তার একটি ব্যক্তিগত অভিমত দিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে ফারুকী লেখেন, এবারের স্বাধীনতা পদক একুশে পদকের মতোই অনন্য হবে। আবরার ফাহাদের কথাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক সাংবাদিক ভাই-বোন এর সত্যতা জানতে চেয়েছেন। তাদের সবার জন্য উত্তর—একটু অপেক্ষা করেন, পুরা তালিকাই জানতে পারবেন। অসাধারণ সব নাম দেখতে পাবেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এবার আসি এই পোস্ট লেখার আসল কারণে। আবরার ফাহাদের নাম সামনে আসায় সব স্তরের মানুষের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার পাশাপাশি একটা নির্দিষ্ট দলের লোকদের অবুঝ প্রশ্ন দেখতে পাচ্ছি, ‘আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক কী বিবেচনায় দেওয়া হবে?’
ফারুকী উল্লেখ করেন, কী বিবেচনায় দেওয়া উচিত সেটা ব্যাখ্যা না করে আমি বলতে চাই, কোন ক্যাটাগরিতে দেওয়া উচিত। তাহলেই কেন দেওয়া উচিতের উত্তর পাওয়া যাবে। আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিবেচনা—আবরার ফাহাদের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ’! মুক্তিযুদ্ধের ফল স্বাধীনতা। স্বাধীনতার প্রধান শর্ত সার্বভৌমত্ব। আর সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড আবরার ফাহাদ। আবরার ফাহাদ একটা সিম্বল, যার শক্তি যদি আপনি অনুমান না করতে পারেন, তাহলে বলবো জুলাইতে ফিরে যান। গিয়ে তরুণবক্ষে কান পাতেন। যার নিশ্বাস শুনবেন তার নামই আবরার ফাহাদ।