ঘুম মানুষের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। শিশুদের ৯-১৩ ঘণ্টা এবং নবজাতকদের ১২-১৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার। তবে অনেকেরই অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অনিদ্রার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং কর্মক্ষমতা ব্যাহত হয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
এছাড়াও নিত্যদিনের সমস্যা হিসেবে কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, সবসময় অস্থিরতা ও ক্লান্তি অনুভব করা। দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের সমস্যার কারণে মানসিক চাপ, খিটখিটে মেজাজ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার মতো বিষয়গুলো লক্ষ্যনীয়।
বিশেষজ্ঞরা সুস্থ ঘুম নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:
১. নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি মেনে চলুন – প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো ও একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন – রাতে চা-কফি পান না করা ভালো, কারণ এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
৩. শারীরিক ব্যায়াম করুন – নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ানো ঘুমের গুণগত মান বাড়ায়।
৪. দিনের বেলা ঘুম এড়িয়ে চলুন – এতে রাতের ঘুমের সমস্যা কমবে।
৫. আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করুন – ঘুমের ঘর শান্ত, অন্ধকার ও আরামদায়ক হওয়া উচিত।
৬. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন – ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল, ল্যাপটপ ও টিভির স্ক্রিন এড়িয়ে চলা উচিত।
৭. মাইন্ডফুলনেস ও মেডিটেশন চর্চা করুন – এটি মানসিক চাপ কমিয়ে ঘুমের মানোন্নয়ন করতে পারে।
৮. বিছানাকে শুধু ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন – এতে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে এটি ঘুমের স্থান, যা দ্রুত ঘুমাতে সহায়তা করে।
৯. অতিরিক্ত চাপ এড়িয়ে চলুন – ঘুম আসছে না বলে চাপ নিলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবন নিশ্চিত করতে সঠিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=949483030165663&rdid=dDleACA90Gl31Vr4