বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমে বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে এবারের সফরে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে সফরকারী দলটি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে আগামী রোববার, তার আগে সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসে আত্মবিশ্বাসের সুরেই কথা বললেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস।
উইলিয়ামস বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালোভাবেই প্রস্তুত হয়েছি। জিম্বাবুয়েতে ঘরোয়া ম্যাচগুলোতে পর্যাপ্ত গেমটাইম পেয়েছি। আমাদের পেসাররাও দারুণ করেছে। দলের মনোবল ও পরিবেশ—সব মিলিয়ে আমরা প্রস্তুতির দিক থেকে সন্তুষ্ট।’
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ‘এখানে আসার পর ঘুম, শরীরচর্চা, খাবার আর হাইড্রেশনের দিকে মনোযোগ রাখা খুব জরুরি। যত বেশি সম্ভব মনোযোগ ধরে রাখা ও মানসিকভাবে ফোকাস থাকা দরকার,’ বলেন তিনি।
সিলেটের উইকেট ঘিরে উইলিয়ামস জানিয়েছেন, এবারের পিচ আগের চেয়ে কিছুটা আলাদা মনে হচ্ছে তাদের কাছে। ‘এর আগে এখানে লো-স্লো উইকেট পেয়েছিলাম, যেখানে স্পিন বেশি সাহায্য করেছিল। এবার উইকেটে ঘাস অনেক বেশি, আর পেসারদের সহায়ক বলেই মনে হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে এখানে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় পেস সহায়ক পরিবেশ থাকে। আমাদের স্কোয়াডে ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর নিয়াউচি ও ট্রেভর গুয়ান্দুর মতো স্কিড বোলার আছে। তারা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’
দলের অভিজ্ঞতা কম হলেও উইলিয়ামস আশাবাদী ভালো লড়াইয়ের ব্যাপারে। ‘আমাদের দলে মাত্র চারজন খেলোয়াড় আছেন, যারা উপমহাদেশে টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু মানসিক প্রস্তুতি আর পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে এই সিরিজে। বাংলাদেশও ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে, আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত,’ বলেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের জন্য সিরিজটি যেমন তরুণদের জন্য নিজেকে প্রমাণের বড় সুযোগ, তেমনি বাংলাদেশের জন্যও নিজেদের ঘরের মাঠে ধারাবাহিকতা দেখানোর একটি মঞ্চ। সিলেটের পেসবান্ধব উইকেটে দু’দলের লড়াই জমে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।