১৩টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ২০২৩ সালে সরকারনির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে। বিধি লঙ্ঘনের কারণে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কোম্পানিগুলোকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। আইডিআরএর বিশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, পিপলস ইনস্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ এবং ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৮টির অবৈধ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২০ শতাংশের বেশি। যাদেরকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো মেঘনা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স এবং ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড। এই ৮ কোম্পানিকে ৫ লাখ করে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, পিপলস ইনস্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স এবং ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সকে ৩ লাখ করে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি কোম্পানিকে সতর্ক করেছে আইডিআরএ।
সতর্ক করা ৬ নন-লাইফ বিমা কোম্পানি হলো নিটল ইনস্যুরেন্স, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, প্রাইম ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, রূপালী ইনস্যুরেন্স এবং সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স।
জরিমানা ও সতর্ক-সংক্রান্ত চিঠি আইডিআরএর থেকে কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএর উপপরিচালক মো. সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯টি সাধারণ বিমা কোম্পানি ‘নন-লাইফ ইনস্যুরেন্স ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী বিধিমালা ২০১৮’-এর বিধান লঙ্ঘন করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যয় করেছে, যা নিয়মের লঙ্ঘন।