বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতে (ইউএই)’র মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, ইউএইসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আগামী ২৪-২৮ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সফরকালে ঢাকা চেম্বারের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ২৫, ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে আবুধাবি চেম্বার, দুবাই চেম্বারর্স এবং শারজাহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা ও বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠিতব্য বিজনেস ম্যাচ মেকিং (বিটুবি) সেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।
উল্লেখ্য, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৭ শতাংশ বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে এবং বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশিদের কর্মক্ষেত্র বিবেচনায়, যা দ্বিতীয় বৃহত্তম। ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ও বিনিয়োগের পরিধি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ কাঠামো, আর্থিক ও অআর্থিক প্রণোদনা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ, বিভিন্ন শিল্পে লক্ষ্যযুক্ত কর ছাড়, ১০০ শতাংশ বিদেশি মালিকানা, বন্ডেড গুদামসুবিধা, কার্যকর মেধাসম্পদ সুরক্ষা, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ডাবল ট্যাক্সেশন চুক্তি বাংলাদেশকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে।
বিশেষকরে, দুবাইয়ের ভৌগোলিক কৌশলগত অবস্থানের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান হালাল পণ্যের বাজারে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি মূল প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য সংযুক্ত আরব-আমিরাত হতে পারে এলএনজি আমদানির অন্যতম সম্ভাবনাময় উৎস।
ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদলটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকা ফিরবে।