গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬.৮২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২১ বছরে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এত কম ঋণ প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিশেষ করে ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর এই প্রবৃদ্ধির অবনতি ঘটেছে। গত ৭ মাস ধরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় অর্থনীতিবিদরা এটির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কারোপ বাংলাদেশের রফতানি খাতে সংকট আরও গভীর করতে পারে, যা ইতোমধ্যে চলমান ঋণ সংকটকে আরও তীব্র করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১৫ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৭.২৮ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি গত বছরের আগস্ট থেকে ক্রমাগত কমতে থাকলেও, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকেই এটি নিম্নমুখী হতে শুরু করে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে গত বছর আগস্টের পর এ প্রবৃদ্ধির আরও অবনতি হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ধারা চলতে থাকলে দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর চাপ বাড়বে এবং বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ আরও সংকুচিত হতে পারে, যা পুরো অর্থনীতির জন্য একটি গুরুতর সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে।