নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের ছয়টি বাড়ি ও পূর্বাচলের আটটি প্লট ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ৫৫ কোম্পানির ৫৬ কোটি ছয় লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার অবরুদ্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।
ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার ৪৭ নম্বর প্লট ও ১৪তলা ভবন, যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার এসই (ডি) ব্লকের ৩ নম্বর প্লট ও ১৪তলা ভবন, যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি টাকা। মহাখালীতে চার কোটি টাকা মূল্যের দোতলা বাড়ি, একই এলাকায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের চারতলা বাড়ি, মহাখালীতে আরেকটি চার কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের তিনতলা ভবন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দ্রুত হস্তান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। এগুলো হস্তান্তর, স্থানান্তর করা হলে দুদক ও মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হবে।