Homeঅর্থনীতিচরফ্যাশনে সরকারি ক্রয় বিষয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত

চরফ্যাশনে সরকারি ক্রয় বিষয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত


সরকারি ক্রয়ে অংশীজনদের অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা নিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা থেকে প্রায় ২৫৫ কিলোমিটার দূরে ভোলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় উপজেলা চরফ্যাশনে ই-জিপি বিষয়ে একটি সচেতনতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন করে বিপিপিএ। এ সভায় ৪০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এর আগে বিপিপিএ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একই ধরনের একটি সভা আয়োজন করেছিল।

বিপিপিএর এই উদ্যোগ দেশে একটি অর্থপূর্ণ আলোচনায় দরপত্রদাতা ও ক্রয়কারী উভয় পক্ষকে একত্র করে আরও অংশগ্রহণমূলক ক্রয় পরিবেশ গড়ে তোলার চলমান প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায়। বিপিপিএর বর্তমান কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপজেলা স্তরে এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি সভা আয়োজন করা হবে।

চরফ্যাশনের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিপিপিএর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মাহফুজার রহমান। বিশেষ অতিথি পরিচালক (উপসচিব) মো. সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন শিথি।

রাজধানী থেকে বহুদূরে এ ধরনের সভা আয়োজনের মাধ্যমে বিপিপিএ সরকারি ক্রয়ের সব স্তরের অংশীজনের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সুশাসন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে।

সরকারি ক্রয়ে ই-জিপির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে উল্লেখ করে মো. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘সকল ক্রয়কারীকে ই-জিপিতে টেন্ডার করতে হবে। সে কারণে দরদাতাসহ ক্রয়কার্যে যুক্ত সবার ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।’

দরদাতাদের উদ্দেশে মাহফুজার রহমান বলেন, ‘সরকারি ক্রয়চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর মতো আপনারাও সমান অংশীদার। এ জন্য আপনারা সরকারের উন্নয়ন সহযোগী। ক্রয়কারীর সঙ্গে আপনারাও ই-জিপির বাস্তবায়নকারী। তাই মাঠপর্যায়ের বিষয়গুলো ভালো জানেন। সেসব জেনে ই-জিপিকে সময়োপযোগী রাখতে বিপিপিএ তৎপর। অনেক সময় ব্যাংকের মাধ্যমে দরপত্রদাতারা তাঁদের জমাকৃত দরপত্র জামানত ফেরত পেতে সমস্যায় পড়েন। এ সমস্যা নিরসনে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

নিজের টেন্ডার নিজেকেই অনলাইনে জমা দিতে হবে উল্লেখ করে মাহফুজার রহমান দরদাতাদের সতর্ক করে বলেন, ‘দোকানে পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্যের মাধ্যমে টেন্ডার জমা দেওয়া বিরাট ঝুঁকির কাজ। এই ঝুঁকি আপনারা কেন নেবেন? ২৪ ঘণ্টা আপনাদের সহায়তার জন্য আমাদের ই-জিপি হেল্প ডেস্ক রয়েছে। ১৬৫৭৫-এ কল করে ই-জিপির সহায়তা নিতে পারেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন শিথি বলেন, ‘ই-জিপির সুফল অনেক। এর ফলে আমাদের অনেক বাড়তি কাজ কমে গেছে। বিপিপিএর অন্যতম অগ্রাধিকার সরকারি ক্রয়কাজে ই-জিপির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে গতিশীলতা আনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে বিপিপিএ যথেষ্ট ভালো কাজ করছে।’

রাসনা শারমিন শিথি আরও বলেন, ‘যেহেতু ই-জিপির উত্তরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার জন্য নতুন ফিচার বা মডিউল যুক্ত করে এর উৎকর্ষ আনা হচ্ছে, সেসবের সঙ্গে সকলকে পরিচিত করা এবং ব্যবহারে উৎসাহিত করা জরুরি। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অতি আবশ্যক। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে ক্রয়চুক্তি বাস্তবায়নে এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালা, ২০০৮ প্রতিপালন ও ই-জিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবার অভিজ্ঞতা ও মতামত জানা এই সিস্টেমকে ব্যবহারোপযোগী করার জন্য জরুরি। সে লক্ষ্যে আজকের এই কর্মশালা।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত