Homeঅর্থনীতিএখনই অর্থনীতির চাকা বেগবান করা দরকার: হোসেন জিল্লুর

এখনই অর্থনীতির চাকা বেগবান করা দরকার: হোসেন জিল্লুর


দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ চলছে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাও সন্তোষজনক পর্যায়ে। এর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং ধনিক শ্রেণির (অলিগার্ক) প্রভাব কমানোর মতো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনীতিতে ইতিবাচক কিছু দেখা যাবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’-এর ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এখনই অর্থনীতির চাকা বেগবান করা দরকার। অবশ্য এ কাজ শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের নয়, অন্যদেরও সমান দায়িত্ব আছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ অনেক কিছু করার আছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায় (এসএমই) থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে আস্থা তৈরি করা যায় এবং মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে পরিবারগুলোকে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘অলিগার্কদের (প্রভাবশালী ক্ষুদ্র ধনিক গোষ্ঠী) বাজার নিয়ন্ত্রণের শক্তি কমানোর

ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার সুফল পাবে ভোক্তারা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বারবার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। মূল্যস্ফীতি আগের মাসের ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে নভেম্বরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। তার মানে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের নভেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছরের ‘তথ্যবিভ্রাট’ নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। টের পাওয়া যাচ্ছে বিগত ১৫ বছর দেশ কিসের মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। এমনকি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাবের মতো বিষয় নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, তথ্যবিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল থাকলেও রাজনীতিবিদদের নেতিবাচক ভূমিকা আছে।

পুঁজিবাজারের অবস্থাও ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের অনুরূপ—এমন মত দিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারের শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে বলেই চেয়ারম্যানকে “রিমুভ করো” বলে মিছিল হচ্ছে। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এই শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন।…এ জন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি, এটা প্রচার করা দরকার।’

নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি; যাতে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পান। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে।’

শৃঙ্খলার ওপর জোর দিয়ে অর্থসচিব বলেন, ‘আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা চাই, যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়।’

অ্যালমানাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ব্যাংকিং খাতের এই তথ্যপঞ্জি সম্পর্কে বলেন, ‘সম্পূর্ণ হালনাগাদ তথ্য এতে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর চললেও বইয়ের তথ্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পদ্মা ব্যাংক থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত