সরকার জরুরি ভিত্তিতে আরও ১ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ঘাটতি পূরণ, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা ও নিরাপত্তা মজুত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমদানি করা হচ্ছে এই চাল।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত/আমদানিতব্য স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এই ক্রয় করা চালের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ঘাটতি পূরণ, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা ও নিরাপত্তা মজুত নিশ্চিতকরণের স্বার্থে কেনা হচ্ছে এই চাল।
আরও জানা যায়, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানি করা করা হয়। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় বৈদেশিক উৎস থেকে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল প্রাপ্তিতে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, ২০০৭, ২০০৮ ও ২০১৭ সালে বৈদেশিক উৎস থেকে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমান অর্থবছরে সরকারি পর্যায়ে চালের মোট চাহিদা ধরা হয়েছে ৩৯.৭৮ লাখ টন। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে খাদ্য মজুদ আছে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯০৩ টন চাল এবং ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৯ টন গমসহ মোট ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৬৫ টন।